কবিতা

হালকা রোদের দুপুর

৩০
দুপুরে বর্ষা এলো, মধ্যরাতে ফের। জলের তলে অবাক পাহাড়, বিম্বিত বুঝি— নাচে, দুলে দুলে ওঠে পাহাড়চূড়ার ফুল! এমন আনন্দ থেকে দূরে সরে যায় স্মৃতির ঈর্ষা, কিছুটা নির্ভার তবু স্বাদের আড়ালে। পুরনো বনের অধিক সবুজ সমুদ্র বুকে; ঝাঁকে ঝাঁকে ঢেউ লাজুক ভঙ্গিতে নেচে ওঠে আর বাতাশের সুরে কথা কয়। কিছুটা ঈর্ষা আমাদের বাগানবাড়িতে পোঁতা ছিল। ঘঁষা কাচের মতো প্রেম চলে এসেছিলো নদীর ছন্দে, উদ্বাস্তু পাতার অধিক।

৩১
অনেক তো গান হলো অচেতন রেডিয়োর পাশে। অমরত্বের আয়োজন। তুমুল নারী ও চন্দ্রমল্লিকা, তুলে নিচ্ছো— নাও। ওসব তোমাদের থাক। আহত আপেল, মাথাব্যথা ছড়িয়ে পড়ছে পূর্ণাঙ্গ শরীরজুড়ে। আজ সে স্থির, লোভ ও কান্নার যুগলবন্দী। ফিরিয়ে দিলো শয়নপ্রস্তাব। যখন শূন্যদ্যানে মানুষ ভাষাহীন, নিস্তরঙ্গ একটি বাথান। তার পাশে ফুল হয়ে ফুটে আছে ভোর, পশ্চিমে ইতস্তত মাচাঙের ঘর। বর্ষা ফুরালে ঋতু কেটে যাবে, দেখে নিও তুমিই আমার শব।

সম্পর্কিত
আপনার মতামত জানান

সাম্য রাইয়ান

সাম্য রাইয়ান; কবি ও গদ্যকার। জন্ম ৩০ ডিসেম্বর, কুড়িগ্রামে৷ ২০০৬ থেকে লিটলম্যাগ ‘বিন্দু’ (bindumag.com) সম্পাদনা করছেন। প্রকাশিত বই- সুবিমল মিশ্র প্রসঙ্গে কতিপয় নোট, বিগত রাইফেলের প্রতি সমবেদনা, মার্কস যদি জানতেন, হলুদ পাহাড়, চোখের ভেতরে হামিং বার্ড, লোকাল ট্রেনের জার্নাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button

দুঃখিত, কপি করা যাবে না।