৩০
দুপুরে বর্ষা এলো, মধ্যরাতে ফের। জলের তলে অবাক পাহাড়, বিম্বিত বুঝি— নাচে, দুলে দুলে ওঠে পাহাড়চূড়ার ফুল! এমন আনন্দ থেকে দূরে সরে যায় স্মৃতির ঈর্ষা, কিছুটা নির্ভার তবু স্বাদের আড়ালে। পুরনো বনের অধিক সবুজ সমুদ্র বুকে; ঝাঁকে ঝাঁকে ঢেউ লাজুক ভঙ্গিতে নেচে ওঠে আর বাতাশের সুরে কথা কয়। কিছুটা ঈর্ষা আমাদের বাগানবাড়িতে পোঁতা ছিল। ঘঁষা কাচের মতো প্রেম চলে এসেছিলো নদীর ছন্দে, উদ্বাস্তু পাতার অধিক।
৩১
অনেক তো গান হলো অচেতন রেডিয়োর পাশে। অমরত্বের আয়োজন। তুমুল নারী ও চন্দ্রমল্লিকা, তুলে নিচ্ছো— নাও। ওসব তোমাদের থাক। আহত আপেল, মাথাব্যথা ছড়িয়ে পড়ছে পূর্ণাঙ্গ শরীরজুড়ে। আজ সে স্থির, লোভ ও কান্নার যুগলবন্দী। ফিরিয়ে দিলো শয়নপ্রস্তাব। যখন শূন্যদ্যানে মানুষ ভাষাহীন, নিস্তরঙ্গ একটি বাথান। তার পাশে ফুল হয়ে ফুটে আছে ভোর, পশ্চিমে ইতস্তত মাচাঙের ঘর। বর্ষা ফুরালে ঋতু কেটে যাবে, দেখে নিও তুমিই আমার শব।