সেতার
সেতার বাজছে…
জানতে চাও, কী হচ্ছে এখন। ওখানে—
পাগল— অসুস্থ—অন্ধ—বোবা আর আমি।
কিভাবে যাপন করি নিজেকে জানি না—
ব্যথার চেয়েও ব্যথা এই প্রেম, চূড়ামণি!
আমার ভাগ্য। ব্লু-ষাঁড়। ফুলের ক্রোধ
বাতাস নিয়ে যাচ্ছে বাতাসের খোলা অন্তর।
তুমি নৌকা হও। যাত্রা শুরু করি, অশেষ—
পাখির ঠোঁটে চুমু দিয়ে বলি সুর, ছুমন্তর।
সেতার ভাঙছে…
শুনতে চাও, গাছটা যা জেনেছিল। উন্মুক্ত—
অস্তিত—বয়স—পাতা—ফল আর আলো।
সে এল, অথচ হলোই না শরীরের হাড়—
ছুটন্ত রাগ ছুটছি, ভাবছি—এ কেমন ভালো?
উলঙ্গ আমি। ছোট্ট গুহা। চোখের ভেতর—
সমস্ত ধুলো, পৃথিবীর দিকে উচ্চস্বরে তাকাও।
অনঙ্গ, অঙ্গ হও। তুমিও যে ভীষণ পাগলি—
রগ ফুলাচ্ছ, আর বারবার এসে চুমু খাও।
পাখির দল
এরা সেইসব চমকপ্রদ পাখির দল—
যারা নিবিড়াচ্ছন্ন ভাষায় চৌচির করে দেয়
……………………..সমস্ত পাতার ধ্যান—
……………………..ফলের সুষমায়
যেন মানুষের বিস্মৃত গানের পাশেই
একেকটি চমকিত পাথর!
দূরে—ছড়িয়ে পড়া তুমিও কি ভাবের মতো
ঘরে ঘরে—দীর্ঘ বাহানার পর
শিশুটির চোখ থেকে বেঁকে যাওয়া মেয়েমানুষ
ছায়ার নিচে ফুটে ওঠা চিরফুল—
শব্দের চেয়ে কালো আভা নিয়ে
……………………..ছুটে যায় যে আকাশ—
তারই গ্রহ-উপগ্রহগুচ্ছ কখনো ভুলায় না পথ
শুধু অঙ্কের খেয়াল বাজে তারায়—
আর মাথায় দুলে ওঠে দূরে মৃদু বাতাস।
ডুব
যে আমাকে প্রশ্ন করল,
………………..সে কিছুই না—
যদি এমন বাতাসের কাছে গিয়ে রোজ
আমি মারা যাই
……………..কিংবা, আমার দিকে—
তাকিয়ে তুমি ছোট্ট একটি ভাষার মতো
তাকে আদর দাও—আর বলো কিছুই না!
এই দেখা,
অন্য কিছুর সাথে কিছুই মেলে না—
অথচ পাতার নিচে পিঁপড়ের সম্মেলন
যুদ্ধ আর মুক্তির চেয়েও
………………..তারা সুন্দর নৃ—
বিস্ফোরণের আগের রাত, এটা আশ্চর্য
আমাকে সব দেখাও—কিন্তু সে আমি না!
ভাবি, প্রতিটি ছকের সাথেই
………………..ধাক্কা হবে আমার—
কোথাও শব্দ হবে আবার হবে না!
মৃদু রেণুর ভেতর
………….পাখি ও ফুলের সম্পর্ক কী?
কে জানে? শুধু কাচকান্নার মতো এই দৃশ্য
যেন যাবতীয় যন্ত্র—তারা কোথাও স্থির না!.
কিভাবে দেখি তোমাকে
………………..মৃত্যু কি এমন অভয়
বাতাসকে ফাঁকি দিয়ে যাওয়া
………………..একটি ফুল
আমাকে বিশ্বাস করে ফোটে,
দূরের হাওয়ায়
যে কাঠবিড়ালি বিগড়ে যায় রোজ হঠাৎ হঠাৎ
সেও তো হৃদয়—বনের ছোট্ট এক পরিখা
দমের উপর বসে যে আঁকছে
………………..চোখের মণি—
আর তোমার প্রতিবিম্ব।
………………………..ওখানে কে আমি?
ছোট্ট গাছের শরীর, পোকা খাওয়ার সুর—
গৃধিনীর গুঞ্জনে ভারি এ ঘর, জাহাজ যেন
আমাকে নিয়ে যায়। কিন্তু কোথাও যাচ্ছি না!
কালো কৃষক,
……………তুমি শস্য বানাও। হালকা—
এবং মিষ্টি—কিছুটা বিষ,
লালের গভীরে
সে সূর্যাস্তের শার্ট আমার!
……………গৃহিণীর আঙুল—
তাকে জোড়া লাগাচ্ছে রাত্রি দিয়ে, আকাশ
কে নিবে এখন? কেউ তা জানে না!
তবু কথার কয়েন
……………বাজি ধরতে পারি আমি—
এটা পরিবর্তনযোগ্য,
……………টস করছে কেউ গাছে
ছায়া আর শরীরের ভেতর ছাতারের দল—
কেউ কেউ ধূলিতে ডুব দিয়ে
আর ভাসছে না।