প্রবন্ধ

সারমাদ শহিদ : মোগল কবিতার রহস্যপুরুষ

সাঈদ সারমাদ কাশানি, কখনো বা তাঁর স্থানিক নিসবত তাঁর আপন শহর কাশানের পরিবর্তে তাঁর কর্মস্থল অনুযায়ী লাহোরি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু তাঁর সমধিক পরিচিতি ‘সারমাদ শহিদ’ হিসাবে। ভক্তকূলের কাছে তিনি হাল্লাজ সানি বা দ্বিতীয় হাল্লাজ; সূফিবাদের দ্বিতীয় শহিদ। তাঁর জন্ম আর্মেনিয়ার এক পারসিভাষী ইহুদি বণিক পরিবারে। শৈশবে তিনি পরিবারের সাথে বর্তমান ইরানের ইস্পাহানের অন্তর্গত কাশান নগরীতে স্থায়ী হন ও বেড়ে ওঠেন। রাব্বানিক শ্রেণীর সচ্ছল ইহুদি পরিবারের সন্তান হওয়ায় তিনি উপযুক্ত শিক্ষা লাভ করেন। এসময় তিনি তাওরাত, ইন্জিল (বাইবেলের পুরাতন ও নতুন নিয়ম), ও অন্যান্য ইহুদি গ্রন্থ ও রচনা অধ্যয়ন করেন। যৌবনে প্রখ্যাত ইরানি চিন্তানায়ক মোল্লা সদরা (সদরুদ্দিন সিরাজি) ও তাঁর শিষ্য আবুল কাসিমের সংস্পর্শে আসেন ও তাঁদের তত্বাবধানে বিভিন্ন শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। এ সময় তিনি স্পেনিশ ভাববাদি, সুফিবাদের প্রতিষ্ঠাতা মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবির সর্বেশ্বরবাদী (ওহদাতুল উজুদ) দর্শন ও অন্যান্য রেডিক্যাল সুফি ও মরমী তাত্বিকগণের চিন্তার প্রতি প্রবলভাবে আকৃষ্ট হন।

বণিক সারমাদ শিল্পকর্ম ও অন্যান্য মূল্যবান বিলাসদ্রব্য বিক্রির উদ্দেশ্যে মুঘল ভারতে আসেন। সমসাময়িক জিবনীকারগণের মতে ১৬৩৪ খ্রি সালে তিনি বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বন্দর নগরী থাট্টায় পদার্পন করেন। ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র, ও বহুমতের সহাবস্থান, অবাধ ধর্মচর্চার পরিবেশ, বিশেষ করে, মরমিসাধনা ঐতিহ্য তাঁকে প্রবলভাবে আকৃষ্ট করে। বিশেষ করে, অতীন্দ্রীয়বাদের উর্বর এ জমিনে বাকি জিবন থেকে যেতে মনস্থ করেন। এই থাট্টাতেই তাঁর পরিচয় হয় তাঁর আমৃত্যু/চির সহচর অভয় চান্দের সাথে। এক আসরে কবিতা আবৃত্তি করতে দেখে এই হিন্দু তরুণের প্রতি প্রবলভাবে আকৃষ্ট হন সারমাদ। সেখানেই আলাপ, ক্রমে ঘণিষ্ঠতা। কিন্তু তাদের এ ঘণিষ্ঠতার সূত্র অনৈতিক বা সমকামিতা-অভিযোগে তরুণ অভয় চান্দের পরিবার তাদের মেলামেশায় বাধা দেয়। কথিত আছে, এসময় অভয় চান্দের বিরহে সারমাদ তার বিষয়-সম্পত্তি, বিলাস-ব্যসন ত্যাগ করে বৈরাগ্য গ্রহণ করেন।নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে রাস্তায় উন্মূল ঘুরে বেড়ান। তখন থেকেই সারমাদ সকলপ্রকার পোষাক আষাক ত্যাগ করে দিগম্বর হয়ে যান। একমাত্র দিল্লির দরবারের বৈঠকগুলো ছাড়া কখনোই তিনি কখনোই গায়ে কোন কাপড় জড়াননি। অভয়ের প্রতি সারমাদের গভীর অনুরাগ, ঐকান্তিকতা ও নিষ্ঠা দেখে অভয়ের পরিবার তাদের পূণর্মিলনের অনুমতি দেয়। তারপর এই জুটি সারা মুঘল ভারত চষে বেড়ান। এর মাঝেই সারমাদ অভয়কে বিভিন্ন বিদ্যা শিক্ষা দেন, বিশেষ করে বিভিন্ন ইহুদি বিদ্যায় পারদর্শী করেন। তাঁর তত্বাবধানে অভয় বাইবেলের বুক অব জেনেসিস ১-৬:৮ ‘কিতাবুল আদম’ নামে ফারসিতে অনুবাদ করেন।

পরবর্তীতে তারা দক্ষিণাপথের (দক্ষিণাত্য বা ডেকান) হায়দারাবাদে কিছুদিন অবস্থান করেন। এসময় তাঁরা মুবিদ শাহ ওরফে মোহসান ফানির ‘দাবিস্তান-ই-মাযাহিব’ নামক বিভিন্ন ধর্ম ও উপধর্ম সম্পর্কিত কোষগ্রন্থ রচনায় ইহুদি ধর্ম সংক্রান্ত কন্টেন্ট দিয়ে সহায়তা করেন। সেখান থেকে সারমাদ ভারতের বহু অঞ্চল ঘুরে উত্তরাপথের দিল্লি আসেন। সারমাদের নগ্ন বপু, রহস্যময় চালচলন, উন্নত ভাষা/বাগ্মিতা মানুষকে আকৃষ্ট করেছে। যেখানেই গেছেন জুটেছে ভক্তের দল। সিংহাসনে তখন শিল্পানুরাগী শাহজাহান; আর সম্রাটকে শাসনকাজে সহায়তা করছেন সাহিত্যানুরাগী যুবরাজ দারা শিকোহ। দিল্লির দরবার তখন সাহিত্য, দর্শন, অধিবিদ্যা ও আন্তধর্মীয় বিতর্কের পীঠস্থান হয়ে ওঠে। এই নগ্ন ফকিরের কথা জানতে পেরে যুবরাজ তাঁকে দরবারে আমন্ত্রণ জানান। সারমাদের গভীর প্রজ্ঞা, বিভিন্ন শাস্ত্রে অতূলনীয় বুৎপত্তি, অতীন্দ্রীয় অনুশীলন ও উচ্চমানের কবিত্বে যুবরাজ অভিভূত হন এবং সারমাদের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সারমাদ ছিলেন তাঁর সকল বিষয়ের পরামর্শদাতা। এমনকী ময়ুর সিংহাসন নিয়ে ভ্রাতৃঘাতি যুদ্ধে তিনি দারা শিকোহকে আওরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করেন এবং তাকে যাদুবলে জয় এনে দেবেন বলে আশ্বাস দেন।

সারমাদের ধর্মবিশ্বাস যা-ই থাক, তার কবিতার শৈলী ছিল সুফি ঘরানার। তার কাব্যে আমরা দেখতে পাই সর্বেশ্বরবাদ, মহাজাগতিক প্রেম-বিরহ-মিলনাকাঙ্খা, মায়াবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে ভূতের নশ্বরতা ও অর্থহীনতার নৈর্ব্যক্তিক বয়ান। ছবি : সংগৃহীত

দারাশিকোহর পরাজিত ও নিহত হওয়ার পর আলমগির আওরংজেব সারমাদকে বিচারের আওতায় আনেন। মূলত: রাজনৈতিক কারণে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলেও তার বিরুদ্ধে আরো যেসব অভিযোগ আনা হয় সেগুলো হল– জনসমক্ষে নগ্নতা প্রকাশ ও উৎসাহ প্রদান, ভাং গ্রহণ, সমকামিতা, ধর্মদ্রোহিতা ও বিভ্রান্তি প্রচার, কালোজাদু অনুশীলন। এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থনের পরিবর্তে তিনি দ্ব্যর্থক কিছু কবিতা আবৃত্তি করেন। যা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোকে আরো পোক্ত করে। সবশেষে, তাঁকে কালিমা তৈয়বা পড়ার জন্য বলা হলে তিনি কেবল ‘লা ইলাহা’ (কোন উপাস্য নাই) পাঠ করেন। দ্বিতীয় অংশ ‘ইল্লাল্লাহ’ (একমাত্র আল্লাহ ছাড়া) পড়তে বলা হলে৫ তিনি অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন যে, “আমি এখনো ‘নাস্তি’তেই ডুবে আছি, ‘আস্তি’র ঠাঁই পাই নাই।” এর ফলে, আদালত তাঁর অপরাধ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ চেষ্টা হিসাবে আদালত তাকে তওবা করার শর্তে ক্ষমা করার প্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। রায়ে তার মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। জনসমক্ষে শিরোচ্ছেদ করে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।


সারমাদের জীবন কাহিনী নানামূখী রহস্যময়তার ও বিতর্কের বাতাবরণে ঘেরা। তাঁর ধর্মবিশ্বাস যাদের অন্যতম। ভক্তরা তাঁকে মুসলিম বলে পরিচয় দিলেও সমসাময়িকদের মাঝে একমাত্র তার বন্ধু মোহসান ফানি ছাড়া কেউ তাঁকে মুসলিম বলেননি (যাকে উদ্ধৃত করে তাঁর প্রথম জিবনীকার তাঁকে মুসলিম বলেছেন)।


সারমাদের জীবন কাহিনী নানামূখী রহস্যময়তার ও বিতর্কের বাতাবরণে ঘেরা। তাঁর ধর্মবিশ্বাস যাদের অন্যতম। ভক্তরা তাঁকে মুসলিম বলে পরিচয় দিলেও সমসাময়িকদের মাঝে একমাত্র তার বন্ধু মোহসান ফানি ছাড়া কেউ তাঁকে মুসলিম বলেননি (যাকে উদ্ধৃত করে তাঁর প্রথম জিবনীকার তাঁকে মুসলিম বলেছেন)। বরং অধিকাংশের মত তিনি ইহুদি রয়ে গেছিলেন। আরো অনেকের মতই, ভারতীয় ইহুদি সম্প্রদায়ের ইতিহাস রচয়িতা ওয়াল্টার ফিশেল বলেন, তিনি সম্ভবত নামমাত্র ও উপরে উপরে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, যেহেতু, পরে তিনি নিজেই ইহুদিদের সতর্ক করেছিলেন যে, তারা যেন মোহাম্মদের (স:) ধর্মে গ্রহণ না করে।” তিনি ইসলাম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলে তাঁর নিজের লেখাতেই আমরা পাই। অপরদিকে, ইতালীয় পরিব্রাজক নিকোলা মানুচ্চি তাঁকে নাস্তিক বলে মত প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, বিভিন্ন তরিকার সুফিরা তাঁকে নিজেদের একজন দাবী করে। যদিও তাঁর নগ্নতা ও জীবনাচার জৈন বা নাগা সন্যাসী কিংবা বামাচারী তান্ত্রিকদের সাথে অনেক বেশি সাযুজ্যপূর্ণ।

সারমাদের ধর্মবিশ্বাস যা-ই থাক, তার কবিতার শৈলী ছিল সুফি ঘরানার। তার কাব্যে আমরা দেখতে পাই সর্বেশ্বরবাদ, মহাজাগতিক প্রেম-বিরহ-মিলনাকাঙ্খা, মায়াবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে ভূতের নশ্বরতা ও অর্থহীনতার নৈর্ব্যক্তিক বয়ান। তাঁর রচনায় সমকালে বহুল প্রচল সূফি পদবাচ্য ও উৎপ্রেক্ষার সফল ব্যবহারের দ্বারা তিনি মরমিয়া সাহিত্যের রহস্যময়তা ও দৈব/অজাগতিক দ্যোতনা সৃষ্টি করছেন। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা হল তাঁর রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট। রাজানুকূল্যও তাঁকে তাঁর প্রত্যাখ্যানবাদি আদর্শ হতে বিচ্যুত করতে পারেনি। তিনি তাঁর কবিতায় সমাজে অনুশীলিত প্রাতিষ্ঠানিক বা পোষাকি মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেইসাথে, এক অজাগতিক নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিকল্প প্রস্তাব করেন। তাঁর মতবাদের বাস্তব উদাহরণ হিসাবে তাঁর কবিতায় ঘুরেফিরেই এসেছে নিজের যাপিত জিবন তথা নগ্নতা, সংসার বিমুখতা, বৈরাগ্য, প্রচল প্রত্যাখ্যানের প্রবনতা ইত্যাদি। তিনি সর্বেশ্বরবাদি অন্তরবিক্ষণের যৌক্তিকতায় প্রচলিত ধর্মমতসমুহকে অসার ও আচারসর্বস্ব ভাঁড়ামি বলে তাঁর তার রচনায় তিনি বারংবার উল্লেখ করেন এবং ধর্মীয় বিধিবিধান খোদা বা পরম প্রেমাষ্পদের সাথে মিলনের অন্তরায় বলে প্রচার করেন।

ফারসি, আরবি, হিব্রু, তুর্কিসহ কয়েকটি মধ্য এশিয়ান ভাষায় দখল থাকলেও তাঁর বুৎপত্তি ছিল ফারসিতে। সারমাদের সকল কাব্যকর্ম এ ভাষায় করা। মওলানা আজাদের মতে, তাঁর আরবি আর ফারসি ভাষার দখল ছিল ‘দরজায়ে কামেল’ বা সহজ কথায় বিস্ময়কর।

সারমাদ জীবনের ঐতিহাসিক উপাদান নিয়ে বলতে গিয়ে মওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আওরংজেব ও তাঁর পরবর্তীকালের কবিদের জীবনীকোষগুলোতে তাঁর সম্পর্কে কয়েক লাইনের বেশি লেখা নাই। আগেরদিনের ইতিহাসবেত্তাগণ তার জীবন সম্পর্কে যা লিখেছেন তা এতই অপ্রতূল যে, সেগুলোর ক্রমযোজিত সারসংক্ষেপ একটি পোস্টকার্ডের জায়গাও পূর্ণ করতে পারবেনা।” তার সমসাময়িক কিংবা পরবর্তীগণ যারাই তাঁর উল্লেখ করেছেন হয় অনুরাগের সাথে, নয়তো বিরাগের বশে। যেজন্য তাঁর সম্পর্কে নির্মোহ পঠনপাঠনের সুযোগ খুব কম। (মাওলানা আজাদও তাঁকে অনুরাগের জায়গা থেকে মূল্যায়ন করেছেন।) বিশেষ করে, ভক্তকূল তাঁকে অতিমানবীয় চরিত্রে রূপান্তর করে ফেলেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর, তাঁর নানা কারামতের বর্ণনা সহকারে বিভিন্ন অলৌকিক আখ্যান রচিত হয় এবং সেগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এদের মধ্যে দুটি এখানে উল্লেখ করা হলো—

(১) একবার মসজিদে যাওয়ার পথে আওরংজেব সারমাদকে নগ্ন হয়ে বসে থাকতে দেখে তাকে লজ্জাস্থান ঢাকতে বলেন। “গরজ থাকলে তুমিই ঢেকে দাও,” সারমাদের উত্তর, “এইতো পাশেই কম্বল রাখা।” কম্বল তুলতেই আওরংজেব সবিস্ময়ে দেখলেন, সেখানে পড়ে আছে, ভ্রাতৃঘাতি যুদ্ধে তার হাতে নিহত হওয়া তার আত্মীয়দের কাটামুণ্ডু; একদম তাজা, তখনো রক্ত ঝরছে। ভীত-সন্ত্রস্ত আওরংজেবের মুখের ওপর অবজ্ঞার হেসে ফকির বললো, “এখন কী ঢাকবে সুলতান– আমার নগ্নতা, না তোমার অপরাধ?”

(২) সারমাদের শিরোচ্ছেদের সাথেসাথেই তিনি প্রচণ্ড ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। তাঁর কাটা ধর লাফ দিয়ে উঠে, তাঁর মুণ্ডুটাকে হাতে নিয়ে, ধুপধাপ পা ফেলে দণ্ডবেদির সিঁড়ি দিয়ে নামতে লাগলো। এমন সময় তার পীর সৈয়দ হরে ভরে শাহর গায়েবি কণ্ঠ শোনা গেল, “সারমাদ তুমি কোথায় যাচ্ছ?” “আমার মামলা নিয়ে মুহাম্মদের (স:) দরবারে যাচ্ছি,” সারমাদের উত্তর। “শান্ত হও”, গায়েবি কণ্ঠ আবারো বলে উঠল, “তুমি তোমার মন্জিলে মকসুদে পৌঁছে গেছো। তুমি তোমার সারাজীবনে তো কোনোদিন কোন অভিযোগ কর নাই। তবে আজ এত ক্ষোভ কেন? এটাই তোমার নিয়তি। নইলে আওরংজেব তোমার মহত্ব ও ক্ষমতা সম্পর্কে জেনে যেতো।”

দিল্লির জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে প্রবেশের শাহি দরোয়াজার ডান দিকের খিড়কিপথে সারমাদ শহিদের দরগা। এখানে একজন মৃত পীরের দরগায় পালিত সবধরণের রুসম ও রেওয়াজ পালিত হয়। প্রতি বছর ১৮ রবিউল আউয়াল, তাঁর মৃত্যু বার্ষিকীতে, ভক্তরা এ দরগায় উরুস আয়োজন করে।

সারমাদের কবিতা

He who understood the secrets of the Truth Became vaster than the vast heaven; Mulla says “Ahmad went to heaven”; Sarmad says “Nay, heaven came down to Ahmad.”12 [Asiri 1950, No. 126]

সারমাদ! তু হাদিসে কাবা ও দ্যায়ের মা কুন
দর ওয়াদিয়ে শক চু গুমরাহোঁ স্যায়ের মা কুন
হাঁ শেওয়ায়ে বন্দগি যে শ্যায়তান আমুয
য়াক কিবলা গুযি, সিজদায়ে বর গ্যায়ের মা কুন’।

ও সারমাদ, কাবা আর মন্দিরের গল্প বলো না আর,
সন্দেহের অন্ধ গলিতে ঘুরে মরো না আর,
শিখতে হয় তো শয়তানের কাছ থেকে শিখে নাও বন্দেগী,
সিজদা করতে হয় শুধু একজনকেই, অন্য আর কারো সামনে না।
(সারমাদ শহীদের রুবাইয়্যাত, পৃষ্ঠা- ৭৪)

আপনার মতামত জানান

কিশোয়ার মোশাররফ

কিশোয়ার মোশাররফ; গবেষক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। ১৯৮৩ সালের ৩ অক্টোবর জন্ম। পড়াশো শেষ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

দুঃখিত, কপি করা যাবে না।