কবিতা

সাময়িক টিলার পরে এবং আরও একটি কবিতা

দর্শক

মেহগনি গাছে ধুন্দল ধুলিছে
ধূসর অনেক মহড়ার বাকি

সম্পর্কিত

ঘরের সামনে এপ্রিল আসবে
সুন্দর সময় আর কবে থাকি

আর নাই থাকি শেফালির স্তূপে
কমলা সাদায় খাবো আড়মোড়া

যত রূপ ধস শত রূপ ধরি
খেতে ঝোপে মাঠে বাঁধবোনে জোড়া

বৃষ্টি-পাতা পড়ে মুখ টিপে হাসে
আমার ঝরাটা দেখা তার শখ

মুখ ফুটে কিছু ব্যাকুল বলিতে
পারিবা তাহারে কেমন দর্শক !

স্বপ্নহীন কোনো জেলা শহরের
তেতুঁলতলায় নাচে মৃত্যু যিনি

উপমার মতো দূরে দূরে রয়
সিংহীর মতন একা একাকিনী

বনে ও জঙ্গলে ফোটে নিজ সাধে
ফোঁটায় হরেক পুস্প যারা কবে

নাহি ঝরে কভু আকাশ কুড়ায়
সেগুলারে লভে যথার্থ নীরবে!


সাময়িক টিলার পরে

পেরেশানি দাগা ছিল
জখম অস্থিরতা
পিছনে ফেলি আসছি
বিম্ব কাঁপা পুকুরে
সেইসব কথকতা।

যা ফেলি আসাই যায়
তা আমার সত্তার?
হেমন্তে পাতাহারা
বন পাইছে ওরাও
আমার গ্লানি অপার!

ব্রিজ পার হই একা
পাখিছায়া ধরা নদী
নাগাল পাই না কার
বালা মুসিবতে ছুটি
কার অসীম অবধি!

একটা সময় ছিল
তুষার ঝরানো থির
ধূসর টপকানোর
বিষয় ছিল না হেন
আলগা টান নিভৃতির!

হ্যানে লাউয়ের মাচা
পাশেই মরিচ খেত
নীরব চোখের মতো
তাকাই রইছে বিল
হারাই সকল খেদ।

বাড়ি ছাড়ি য্যানে এই
-খানে আসছি শুকনা
পাতা ঢাকা পথ যত
টিলা পরে আমার থাকা
আগলায় এ আমারই
হাল না-থাকার ক্ষত!

আপনার মতামত জানান

জহির হাসান

জহির হাসান; কবি ও চিত্রশিল্পী। জন্ম ২১ নভেম্বর ১৯৬৯, যশোর জেলার পাইকদিয়া গ্রামে মাতুলালয়ে। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে যশোর ও ঝিনাইদহের গ্রামে। লেখালেখির শুরু ৬ষ্ঠ শ্রেণি। প্রথম কবিতা প্রকাশ ১৯৮৪ সালে যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্ফুলিঙ্গ পত্রিকায়। আগ্রহ ধর্ম, ভাষা, দর্শন ও চিত্রকলায়। পড়াশোনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন শাস্ত্রে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button

দুঃখিত, কপি করা যাবে না।