কবিতা

মার্জিন অব ইউটিলিটি এবং অন্যান্য কবিতা

আরাধ্য

রেশ মেখে রাখা সহজ কতিপয়
বিদায়ী প্রেমের ঝাড়ু মুখে মারারও
বরঞ্চ বক্ষ মারিঃ হাওয়ায় জোরে
নিনাদ শনৈঃ শনৈঃ গ্রাস করে জাগতিকতার ‘পরে
কেঁপে কেঁপে কাঁসার ঝনাৎ নধর অসীমে
ছড়ায়ে যায় নেবুলায় নাকি দূর আরো দূরে
ঢের অধীর মুখাবয়বে
আরাধ্য নির্মমতার নেই শেষ।

সম্পর্কিত

মার্জিন অব ইউটিলিটি

কেনো তোমাদের টাকাগুলো সেদিনই—মানে আমরা যেদিন ধার চাই, সকাল সকাল একটা জরুরি কাজে ফুরিয়ে যায়? কেনো সেগুলো দুদিন আগে ফুরায় না? কিংবা না ফুরালো। থাকলো তোমাদেরই। আমরা চাওয়ার পরেও


অফুরান প্রেমের আলোক

বৃদ্ধি ও বিপর্যয়ের এক খেল। অভিযোজনে ব্যর্থ হয়ে যায় ভূগোল। প্রতিকূলতায় যাই না। নিজের রূঢ়তাও সকলের সাথে বয়। পীড়নকেই করি আনন্দের লক্ষ্য। সহজিয়া ছিলাম।… গালাগাল ভর্ৎসনা-হুমকি-হুংকারে করি নিজেকে রচনা। কোথায় হারালো আমার ভেতরকার শিশু? হৃদাঘাতের দলা দলা খুনের সচল অতীত— সবুজ ঘাসে দৌড়াতে থাকা বালক, গ্রাউন্ড লেভেল শটে সূর্যকে ভাবা অপার্থিব বল? যেনো আদিগন্তের দৃশ্য অফুরান প্রেমের আলোক; কোথাও অধুনা আকুতি নেইঃ আমাকে মাদী কুকুরের মতো ভালোবাসুন


দয়িতা

এক সুসংগঠিত দলের যদি একশো’ সদস্য
তাতে দল ছেড়ে পালাতে চান দু’জন
এবং আরো একজন একই দলের ও দয়িতার
দায় কামড়ে আমরণ পড়ে থাকলেও
বাকি সাতানব্বইয়ের চক্ষুর রক্ত উপেক্ষা করেনঃ
উপরে লিখিত দুজনকে পালাতে বাতলে দেন পথ
আমি সে আমরণ সেই একজনের ভক্ত


নিরুকে নিয়ে যাই

সদ্য মরে যাওয়া নিরুকে নিয়ে যাই
বিকল্প ব্যাটের গাছায়
মোড়ানো প্লাস্টিকের বল ঠুকে
মেতে থাকি চারে ছয়ে
ডাকলেও শুনি না
দাগালেও কামান— নামি না
নিরোধে গতি ধরি না বল
গড়িয়ে যায় অবিরাম
যাক
বলের মতোই গড়াতে গড়াতে
শৈশব আজিকার মুখ
কোনোদিনই না দেখুক
চলতেছে চলুক চির শিশুকাল
পাছে
বন্ধু মরে যায়

আপনার মতামত জানান

কাউকাব সাদী

কাউকাব সাদী; কবি ও অনুবাদক। বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মন্দাকিনি গ্রামে। পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রকাশিত বই- রন্ধ্রে রন্ধ্রে করি সঞ্চালন (কবিতা), প্লে লিস্ট থেকে (অনুবাদ)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button

দুঃখিত, কপি করা যাবে না।