কবিতা

বৃষ্টি এবং সাফাকে : তিনটি কবিতা

আম্মুর ঘামা শরীরের ঘ্রাণ অনুভব করে প্রথম কেঁদে উঠি / স্তন দুধে ভরে উঠতে উঠতেই শুরু হয়েছিল টানা বৃষ্টি

সাফাকে

এখন মনে করি     তোমাকে সরাসরি
…………………চুল আঁচড়াওনি
বুকের বোতাম খোলা     কামিজও পালতোলা
…………………এখনো খাওনি
শুয়েছো ভাতঘুম     বাতাস কুমকুম
…………………আর্দ্র হয়ে ভাসে
আহারে তোমার পাপ     পুষেছো কালসাপ
…………………পিঠের আশেপাশে
ইশ রে তোমার ব্রীড়া!     দুয়ারে দিয়েছো গিরা
…………………পর্দা শার্সিতে
আমি এ ছাত্রাবাসে     পাশের ও ছাত্রীবাসে
…………………তুমি কি আসতে?
তোমাকে ভেবে ভেবে     এমনই গুনা হবে
…………………আমার, শাবানমাসে
তোমাকে ভেবে ভেবে     ভাতেও যেকোনোভাবে
…………………নাইমু উঠে আসে
তোমাকে ভেবে ভেবে     হঠাৎই প্রেমের এ
…………………কবিতা লেখলাম
এবং ভাতঘুমে     বাতাস কুমকুমে
…………………ঘুমিয়ে পড়লাম

সম্পর্কিত

সাফাকে

যতদূর ভেবেছি, অতদূর না তোমাদের বাড়ি
আমরা পৌছানোর পর উঠেছিল রোদ
তামাক পাতার সাথে ঘষা লেগে, নেশা নেশা হয়ে
সেই দেশের ভাষা গানের আরো কাছাকাছি, তোমার বলার ভঙ্গিতে পুরাপুরি গান

আমি এত এত স্বপ্ন দেখি, সবই ভুলে যাওয়া
তারা নাভির ভিতর দিয়ে কোথায় হারিয়ে যেতেই যেন আসে
একটা বুদবুদের মিলিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছু থাকেনা
শৈশব থেকে এমনই হয়ে এসেছে,
পাজামা সরিয়ে ঢুকে পড়বার সময়, কেবল তাতে ছড়িয়ে পড়ত কিছুটা আতর

উঠানে পা ফেলতেই দেখি, ফোটা ফুলের মত সারাবাড়ি ছড়িয়ে আছে হাঁস
শিশুরা জড়ো হয়ে এল,
তাদের চোখে তোমার কাছে যে এসেছি, এই রোশনাই
তুমি পরিবেশন করলে সাদা আঙুর, কাটা পিয়ারা,
ফলেরই মতন তোমার দুই হাতে

এক ভাপসা মে মাসে
আম্মুর ঘামা শরীরের ঘ্রাণ অনুভব করে প্রথম কেঁদে উঠি
স্তন দুধে ভরে উঠতে উঠতেই শুরু হয়েছিল টানা বৃষ্টি
তখন মুহররম শেষ,
তেমন কোনো সকাল যা চিরদিনই ভিজা,
রবিউল আউয়ালের চাঁদ তুলায় ভরে যেতে যেতে তুমিও কেঁদে উঠলে
এতদূরের এক গ্রামে
যতদূর হলে আকাশে একত্রে মেঘও জমেনা

মায়ের শাড়ি পরে তুমি সামনে দাঁড়ালে
যেন আমি তোমার বাবার স্মৃতি হয়ে উঠতে এসেছি,
আমাকে তার বাণিজ্য শিখিয়ে দাও
আমি তার অস্তিত্ব হই, ধীরে ধীরে
আমি হাওয়া থেকে তার থেমে যাওয়া নিশ্বাসগুলা টেনে টেনে নিই
তুমিও দেখতে শুরু কর সেসব স্বপ্ন, যেসব একান্ত তোমার মায়ের


বৃষ্টি

এই স্ফীত     ঝড়ে হিতাহিত
……………জ্ঞান হারায়ে
বেলকনি ছিড়ে     উড়ে যাচ্ছি রে
……………যেনো কাতরায়ে
জোড়া করিডোরে     হায় হায় করে
……………বালু এসে ঢুকে
যেনো ঢেউয়ে তীর     ভরে গেছে, ধীর
……………ছোট শামুকে

ঘরে দিনমান     শুধু ভাসে ঘ্রাণ
……………বাসি সালুনের
হেসে ওঠা নিয়ে     দুলে দুটা মেয়ে
……………গার্মেন্টসের
হাওয়ায় স্তন     থেকে আবরণ
……………খসে জানালার
কাপে নিস্ক্রিয়     ছিঁড়া খৃষ্টীয়
……………এ ক্যালেন্ডার

আপনার মতামত জানান

কাজী ওয়ালী উল্লাহ

কাজী ওয়ালী উল্লাহ; কবি। জন্ম ২০০০ সালে, চিটাগাং জেলার গ্রামের দিকে। বর্তমানে চিটাগাং শহরেই বসবাস করেন, পড়াশোনাও একই শহরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button

দুঃখিত, কপি করা যাবে না।