বৃক্ষমাতার চিৎকার
মেঘের মানচিত্র ভেঙে নেমে আসছে
বীর্যবান জলের বিদ্রোহ।
হরপ্পালজ্জায় ঘেমে উঠছে
মাটির কুমারী তনু।
সদ্যোজাত গাছশাবকের কণ্ঠ বেয়ে যখন বসন্তমিনারে উপছে উঠবে সবুজ আযান,
তখনই— করাতকল থেকে ভেসে এলো বৃক্ষমাতার চিৎকার।
সুন্দরী প্রতিযোগিতা
তোমার চোখ চোখ নয়— পাণ্ডুলিপি
বুক নয় মাংসাধার— অভিধান
ঠোঁট নয় কামার্ত ঠোঁটের খোরাক, বরং বাউলের একতারা—
আমাকে টেনে নেয় গভীর বনবাসে।
আমি যখন তোমাকে বুনে যাচ্ছি কবিতার সংজ্ঞায়,
আমি যখন তোমাকে স্থাপন করছি স্বতন্ত্র মহিমায়,
তুমি তখন বিজ্ঞাপন হয়ে সেঁটে গেলে পুরুষালি পণ্যে।
তোমার জোছনাজাত সৌন্দর্যের দখল নিলো—
যাদের আঙুল কখনো ছোঁয় নি হারমোনিয়ামের বোতাম,
যাদের ঠোঁটে ওঠে নি সা-রে-গা-মা-পা,
চোখে জ্বলে নি চিত্রকল্পের চেরাগ।
যখন ভাবছি— তোমার প্রেমের বেদীতে উৎসর্গ করবো প্রেমিকজীবন,
তখন তুমি কেজি-কেজি বিক্রি হয়ে গেলে কোনো এক সুন্দরী প্রতিযোগিতায়।
লাঠিম
অথচ আমি আকাশও হতে চাই নি— একঘেঁয়ে, স্থবির।
পতনের নিয়তি মেনে হতে চেয়েছিলাম মেঘ।
মানচিত্রবন্দি সমুদ্র হতেও সম্মত ছিলাম না,
জোয়ারভাটার কলঙ্ক মেনে হতে চেয়েছিলাম নির্বোধ ঢেউ।
এমনকি পাখিও নয়— দিনশেষে তারও ডানা বেঁধে রাখে নীড়ের শেকল
তারচে’ বরং হতে চেয়েছিলাম বাউলের একতারা থেকে খসে পড়া সুর; অদৃশ্য, অবিনশ্বর, হাওয়ার মৈথুনে কেবল ভেসে ভেসে চলা।
অথচ হয়ে গেলাম অবোধ লাঠিম—
তাহারা মর্জিমাফিক আমাকে নাচায়।
ফ্রেম
এতো যে সুউচ্চ প্রলম্ব জীবন—
হিমালয় যাকে ছুঁতে পারে নি,
জলও মাপতে পারে নি গভীরতা;
অথচ ঠিকঠাক এঁটে যায় এক প্রস্থ মাটির ফ্রেমে।
Ahmedmushtak007@gmail.com