ক
পাথুরে বল্কল থেকে,
মৃত্যুকুপের মতো,
মূলত অলিক
ভর্টিসিজম, অমৃত তৃষ্ণা,
মৌন নিরীশ্বর মানুষের দেহ
গম্ভির মেঘের গম্বুজ বেয়ে
সে কোন উজানে যাবে?
তুমি বৃক্ষ, পাতা ঝরা উইলো,
গাছশূণ্য পাহাড় হয়ে
কী দেখাবে?
গৃহমুখি বিহঙ্গ কলঙ্ককীট;
সুবর্ণবীথি?
একের চেয়েও
অধিক একা,
অশ্বত্থের নিদ্রাপাঠ আমি
খ
সাধনা করেছি কতো,
অধিরূঢ় স্নায়ু রাগ
বিরাগ করে কতো
অসুখের ক্রুশকল্প,
হাটিতেছি
বন্দনা করিতেছি অহম
সমুহ সুবর্ণসমীহ
নদী-সাগরসঙ্গম-গতরের গেউর—
ছেড়ে যাচ্ছি সৌজন্য বিলাপও
হাটিতেছিগো ফের কৃষ্ণগ্নির দিকে
গ
বেলাল ঘুমন্ত হরিণীর গানে
আরও বেশি প্রোজ্জ্বল হও
এতো যে লিখেছিলে আধুলি;
পাহাড়-লাবণ্য, স্রোত ও ঈর্ষা
লিখেছিলে মায়া ও মানবী; নাগপাশ
সে-তো মেঘ, ওয়াইনের—
বোতলের মতো,
বিস্তৃত স্ফুলিঙ্গ শুধু
বেলাল রক্তের ভেতরে,
ফুলের ও গর্ভের ভেতরে যাও ফের
ঘ
ঝাঁ ঝাঁ শূন্যতায়, অর্ফিউসের নামে
ঢাক বাজিয়েছে জুয়ার টেবিলে—
কেউ কেউ,
মাস্তুলে মাংস ঘ্রাণ
অগম্য চিৎকার, আত্মসমর্পণ,
দূরগামী পহাড় সে
বিস্মৃত নক্ষত্রগুলো,
নত এই বিদীর্ণ বাখল
তবু চোখের ভেতর আমার
সেই ডালিম ফুল
রক্ত ভ্রূণ, খেলে…