‘পুঁথির পাতা থেক‘ সিরিজের কবিতায় ঘোরগ্রস্ত বা অবচেতন সময়ের চাপ পষ্ট। বেলাল আহমেদের এই সিরিজের কবিতা পড়লে কখনো মনে হবে পরাবাস্তব, কখনো আবার যাপন আর যন্ত্রণার দৃশ্যকল্প। এই পর্বে সিরিজের শেষ চারটি কবিতা প্রকাশিত হলো।
ঠ
নটী বিনোদিনী দেখি চম্পক নগরে
লকলকে দেহজুড়ে রক্তাভ গেউর
ও রাজঘোটক আকাশে উড়ে যাচ্ছে
অশ্বকেশর, কাঁপছে দখিন বাতাস
আমি তো নেমেছি পথে—
উজান হাওয়ায়
রত্নমুখে এত কূপনীরবতা, ভুলে যাই না
বাগানে হাতিশাবক; মনে করিয়ে দেয়
আমাকে যেতে হবে, আহ!
ও বেহুলা!
চলে যেতে হবে আমাকেও
দূর জঙলার পথে!
ড
তারা তো বলের মতো
রুপার মারবেল
আকাশে গোচর হয়—
ফেনশীর্ষ ঢেউ।
বেপরোয়া বায়ু, কোথায়?
একা একা ওড়ে
পড়ন্ত পালক
ও পাখি!
দোতারা বাজাও
সন্ন্যাসীর হাড় খুঁড়ে
দেখি, নেই গাছ-নদী
আছে জলন্ত ক্ষোভ
অনন্ত পুড়ছি আমি একা একা।
ঢ
প্রণতী উড়ে যাচ্ছে রসপূর্ণা
আমিও যাচ্ছি সেখানে,
বৃক্ষমানব দখিন বায়ুপথে
নিঃশ্বাস ফেলেছিল;
শব্দ, রঙ ও ঘ্রাণ
গাছেরা, ফুলেরা, পাথরেরা
সন্ন্যাসীর মতো জীবন খুঁজছে
ন
এ শহরে মৃত্যু ও মিথ্যা সুন্দর
জীবন; বিকল্প সঙ্গ-অনুষঙ্গ মাত্র
অ্যাপার্টমেন্ট-ভিলাগুলো শুধু
মৃত মানুষের স্মৃতি উসকে দেয়
পাতাঝরা অকপট পূর্ণিমা রাত্তিরে
এতদিন পর, কে আমি? বলাবলি করে লোকে,
ও শ্যামাঙ্গী বলো, মনোবাসনা, আত্মবিস্মরণের কথা
বলো, আমি ফুলপাখি, বেতফল, গুল্ম
কাঁদতে পারি না বলে—
এ মহারাষ্ট্রে আমি বিচ্ছিন্ন আখ্যান