হারিয়ে ফেলা গান
হারিয়ে ফেলা গানের জন্য এখনো আমার জ্বর—
খুব সুর, উচ্চকিত মাভৈঃ মাভৈঃ
সহস্র শব্দের তোড়ে কদমফুলের পাশে
অনর্গল নদী৷ শতাব্দী পেরিয়ে বুঝি সমুদ্র
অথবা নিশ্চুব ডোবাবিশেষ৷ তেমন কিছুই না
সামান্য হাইফেন৷ হারিয়ে ফেলা সুরের জন্য
এখনো আমার আকাশ৷ খাঁ খাঁ—!
মার্জিন পেরিয়ে শব্দ, ক্লোনের পাশে শব্দ
একেকটি মহাপ্রাণ, আর কিছু হারিয়ে ফেলা গান৷
নিউটন
নিরাকার— জলের সাইরেন৷
এলো আমফান— সাফোর
কলোনীতে৷ বৃষ্টিবৈভবে জেগে উঠি৷
শব্দ হয়৷
নিউটন, আপেলতলায় থাকো৷
বাড়িতে যেও না৷
বাড়িতে হৃদয় নেই৷
মানুষভর্তি বেদনা৷
বিবাহবার্ষিকী
বিবাহবার্ষিকীতে নিষ্পত্র ছিলাম৷ অঘোষিত
ভঙ্গিতে নেমে এলো প্রেম, যেভাবে সন্ধ্যে নামে
ব্রহ্মপুত্র তীরে৷ সম্মোহনী সংগীতে জাগে
কুয়াশার সমূহ কম্পন৷ নিয়তিবৃক্ষ ছিঁড়ে যায়৷
চাঁদ নেমে আসে জলের মোহনা আর ফসলের ক্ষেতে৷ নিউট্রাল বিউগলে জাগে দিনের সকল
রাত৷ জগতে সকলই রাজনীতি আর
আর্থিক আলোচনা৷
তবুও তখন দুমদাম লাল, আমার নিটোল বুকে৷
নামকরণের সার্থকতা
নামকরণের সার্থকতা নেই। একা
যেতে যেতে ভাবি, বুড়িগঙ্গায় প্রবাহিত
জীবনের সকল প্রণাম। শান্ত হয়ে
ভেসে যেতে থাকে বেকসুর কান্না।
দেখেছি কয়েকদিন, শহরতলীতে নেই বাণিজ্য বিশেষ
গীতবিতান সুদূর-পরাহত, তুমিও নিরুদ্দেশ!
ফাল্গুনের রোদে
সকালে মিস্টি রোদ-এর দিন—
কুম্ভ-সূর্য জাগে আদিবাভঙ্গিতে
বাড়ি ফিরে—নিস্তরঙ্গ তারা
ইশারাভাষায় ডাকে মাতৃভাষাবনে
আচ্ছাদন পেরিয়ে যেতে চাই
দ্রুত!
চোখ বুজে শুনি—ডাকছে আকাশ
ছোট হচ্ছে আলো৷
ফাল্গুনের বিকেলবেলায়
গতকালের বাতাশ—আজ খুব এলোমেলো৷
মানতে চাই না তবু, কৈবল্য আঁকড়ে
ধরে হাত! স্বপ্নে চিৎকার করে উঠি
দেখেছি অবাক-পরিখা৷ এইমাত্র ডাকে
সাড়া দিলো যে—বলি, ব্যাগ গুছিয়ে দাও
দেরি হয়ে যাচ্ছে!