কবিতা

নামকরণের সার্থকতা এবং অন্যান্য কবিতা

হারিয়ে ফেলা গান

হারিয়ে ফেলা গানের জন্য এখনো আমার জ্বর—
খুব সুর, উচ্চকিত মাভৈঃ মাভৈঃ
সহস্র শব্দের তোড়ে কদমফুলের পাশে
অনর্গল নদী৷ শতাব্দী পেরিয়ে বুঝি সমুদ্র
অথবা নিশ্চুব ডোবাবিশেষ৷ তেমন কিছুই না
সামান্য হাইফেন৷ হারিয়ে ফেলা সুরের জন্য
এখনো আমার আকাশ৷ খাঁ খাঁ—!
মার্জিন পেরিয়ে শব্দ, ক্লোনের পাশে শব্দ
একেকটি মহাপ্রাণ, আর কিছু হারিয়ে ফেলা গান৷

সম্পর্কিত

নিউটন

নিরাকার— জলের সাইরেন৷
এলো আমফান— সাফোর
কলোনীতে৷ বৃষ্টিবৈভবে জেগে উঠি৷
শব্দ হয়৷

নিউটন, আপেলতলায় থাকো৷
বাড়িতে যেও না৷

বাড়িতে হৃদয় নেই৷
মানুষভর্তি বেদনা৷


বিবাহবার্ষিকী

বিবাহবার্ষিকীতে নিষ্পত্র ছিলাম৷ অঘোষিত
ভঙ্গিতে নেমে এলো প্রেম, যেভাবে সন্ধ্যে নামে
ব্রহ্মপুত্র তীরে৷ সম্মোহনী সংগীতে জাগে
কুয়াশার সমূহ কম্পন৷ নিয়তিবৃক্ষ ছিঁড়ে যায়৷
চাঁদ নেমে আসে জলের মোহনা আর ফসলের ক্ষেতে৷ নিউট্রাল বিউগলে জাগে দিনের সকল
রাত৷ জগতে সকলই রাজনীতি আর
আর্থিক আলোচনা৷
তবুও তখন দুমদাম লাল, আমার নিটোল বুকে৷


নামকরণের সার্থকতা

নামকরণের সার্থকতা নেই। একা
যেতে যেতে ভাবি, বুড়িগঙ্গায় প্রবাহিত
জীবনের সকল প্রণাম। শান্ত হয়ে
ভেসে যেতে থাকে বেকসুর কান্না।
দেখেছি কয়েকদিন, শহরতলীতে নেই বাণিজ্য বিশেষ
গীতবিতান সুদূর-পরাহত, তুমিও নিরুদ্দেশ!


ফাল্গুনের রোদে

সকালে মিস্টি রোদ-এর দিন—
কুম্ভ-সূর্য জাগে আদিবাভঙ্গিতে
বাড়ি ফিরে—নিস্তরঙ্গ তারা
ইশারাভাষায় ডাকে মাতৃভাষাবনে

আচ্ছাদন পেরিয়ে যেতে চাই
দ্রুত!
চোখ বুজে শুনি—ডাকছে আকাশ
ছোট হচ্ছে আলো৷
ফাল্গুনের বিকেলবেলায়
গতকালের বাতাশ—আজ খুব এলোমেলো৷

মানতে চাই না তবু, কৈবল্য আঁকড়ে
ধরে হাত! স্বপ্নে চিৎকার করে উঠি
দেখেছি অবাক-পরিখা৷ এইমাত্র ডাকে
সাড়া দিলো যে—বলি, ব্যাগ গুছিয়ে দাও
দেরি হয়ে যাচ্ছে!

আপনার মতামত জানান

সাম্য রাইয়ান

সাম্য রাইয়ান; কবি ও গদ্যকার। জন্ম ৩০ ডিসেম্বর, কুড়িগ্রামে৷ ২০০৬ থেকে লিটলম্যাগ ‘বিন্দু’ (bindumag.com) সম্পাদনা করছেন। প্রকাশিত বই- সুবিমল মিশ্র প্রসঙ্গে কতিপয় নোট, বিগত রাইফেলের প্রতি সমবেদনা, মার্কস যদি জানতেন, হলুদ পাহাড়, চোখের ভেতরে হামিং বার্ড, লোকাল ট্রেনের জার্নাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button

দুঃখিত, কপি করা যাবে না।