কবিতা

দৃষ্টি দিজার তিন কবিতা

এক.

অন্ধকার ক্রমে ঘনায়মান হইতেছিল
সামনে বসায় বাসের অপরাপর যাত্রীরা তাকিয়ে ছিল আমার দিকে
কখনো কখনো অনিচ্ছা সত্ত্বেও
কে কার মনের খবর কবে রাখিয়াছে
আমি ভাবলাম, আমাকে আরো পাঁচটা সময়ের মতো মানসিক ভারসাম্যহীনই লেগে থাকবে
I was shuddering within a inner vacillation.

সম্পর্কিত

আমি ওদের দিকে তাকাই
(সম্মুখে, অর্থাৎ বাঁ দিকে তাকাতে তাকাতে ঘাড় ব্যথা করে)
ওঁরা আমার দিকে
বাচ্চারা গতি বাড়তে দেখে আলজিভ দেখিয়ে কাঁদে
মায়ের (এবং যাত্রী সবারই) বাচ্চাদের জানালা দিয়ে ফেলে দিতে কখনোওবা মন চায়।
কিন্তু সবাই চুপ থাকে
ড্রাইভার সাহেব চুপ থেকে থেকে টক্কর খাইয়ে আরোও উড়িয়ে নিয়ে চলেন।
তাতে করে পিছের এক যাত্রীর মাথায় রড ভেঙে পড়ে।

তারপর বাস স্টপেজে থামে।
একটা
ধরুন গন্তব্য।
সবাই নেমে পড়ে।
কেউ একটা রিকশা নেয়।
কেউ অন্য একটা বাস।
কেউ কেউ একটা সিএনজি নেয়।
কেউ হাঁটে।

১৪ আগস্ট ২০২৩


দুই.

বাড়িটার আপন কষা হাগুর মতো ভগন্দরে আটকে আছি।
আমার মাঝেমধ্যেই মনে হয় বাড়ি থেকে চলে গেলে নিষ্প্রাণ বাড়ি আবার প্রাণ ফিরে পাবে। তাঁরা ষাঁড়ের লড়াই লড়বে। নিশ্চুপ বিশাল প্রাচীর ভেঙে পড়বে। সবাই শব্দ করে চিবিয়ে খাবে। বাবা কাকারা বৌদির আর মামির ছোটবড় স্তন, কাকির ঘোমটা বিহীন কোমড়ের দিকে সরাসরি তাকাবে। মা আরো বুক ফুলিয়ে পেম্পার করবে মাখন কাকু মিহির মামা মণিকা পিসি আর তালোই মহাশয়দেরকে।
আমি চলে গেলে আবার কবিতা লেখা শুরু করবে তুমি।

২৯ মার্চ ২০২৩


তিন.

কারুবাসনা চুষে সব নীল করে দিল- ব্লু-
পলিথিনের মতো
অথবা মেলার সানগ্লাসের মতো
অথবা সমুদ্র অফেন।
শুষ্ক রক্ত বিহীন সিলিং ফ্যানটার মতো।
খুব ক্লান্ত লাগে।
কারুবাসনা চুষে ক্লান্ত ক্লান্ত ক্লান্ত করে দিলে
কোনো একটা চেয়ার নেই যে বসি
কোনো চেয়ার নেই, সুতরাং চেয়ারের পেছনে কেউ নেই দাঁড়ানোও যে গর্দানটা একটু মালিশ করে দেয়।

১২ মার্চ ২০২৩

আপনার মতামত জানান

দৃষ্টি দিজা

দৃষ্টি দিজা। কবি, অনুবাদক ও গল্পকার। জন্ম ১৯৯৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ। ২০২১ সালে চৈতন্য প্রকাশন থেকে বের হয় তার গল্পের বই ‘বিলুপ্তি ফেরাতে আসা রানী মাছ’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button

দুঃখিত, কপি করা যাবে না।