কবিতা

তিনটি কবিতা

আমি মুহাম্মদের লোক-০১

ভিক্টর, বাতাসে ভেসে আসছে সাপেদের কানকথা। পাহাড়ে পাহাড়ে অমোঘ জিকির। ক্ষত শুকাচ্ছে তিলাওয়াতে।

সম্পর্কিত

ভিক্টর, শহরে বেড়াতে যাওনি আজ?

ঝাঁপ তুলে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে দোকান। হৃদয়ে রক্তবর্ণ প্রেম। আত্মায় ইমাম হোসেন, আঠারো সদস্য নিয়ে স্বর্গপথিক।

 


আমি মুহাম্মদের লোক-০২

প্রত্যেকেরই হৃদয় তাক করে একটা নদী, একটা জলজ হাওয়া বয়ে নেয়া সোমত্ত নদী রয়েছে। একটা শান্ত শীতল আবহাওয়া জুড়ে কাকতাড়ুয়ার দূরদৃষ্টি খেলা করে অষ্টপ্রহর, গল্পের মহুয়া রাখে চাঁদের বুকে মাথা, আর কে না জানে সে-সময় বেদে-বহরের ধারে ডুবে মরছিলো শ্রেণী বৈষম্য!

কল্পনার নাম করে, কারো-বা স্মৃতির নাম করে বাওয়ানি জুট মিল, ডেমরার বন্দর, বিশুদ্ধ প্রেমের চিঠিরা দিব্যি ভর করে আত্মাপ্রকোষ্ঠে। যেদিকে নিখিল নিনাদ নীল, সেদিকেও আর্তনাদের ভার বহন করছে মানুষ।

স্নানের আগে আগে একটা চড়ুই দেখো ইতিউতি চায়

সে কি তার সঙ্গীনির অপেক্ষায়?

পাখীরা দরুদ পড়ে, কুর্নিশ করে মহাজাগতিক স্নায়ু সমীপে, আর সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো তাদের মধ্যে শ্রেণীবিভেদ নাই; এ-ই যে শ্রেণীভাগহীন এক একটা প্রজাতি যুগ যুগ দাঙ্গাবিহীন কাটিয়ে দিচ্ছে আয়ু, এতে সাম্যের ইশারা নাই?

তবে মানুষের এতোসব পেরেশানি, প্রতিষ্ঠার তাড়া আর বহুতল আক্ষেপ কি কাজে আসে দিনভর জগতে?


কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না

আকাশ গুরুগম্ভীর

বাতাসে কে ধরালো চির?

তুমি বেহেশতে আছো ভাবতেই রেলঘুমটির গর্জনে শতাধিক ছিন্নমূলের কাঁচা ঘুম ভেঙ্গে যায় সই। আমাদের হাত আছে তর্জনী নাই। আমাদের হৈ-চৈ আছে আওয়াজ নাই, ওয়াজ আছে সততা যে আর নাই এ-কথা পাড়ার বৌ-ঝিরাও জানে।

অথচ নিউজ চ্যানেলের সামনে বসে দাঁত কিড়মিড় করে সরকারপক্ষরে আমরা কতই না গালাগাল দিই। দিনে দুপুরে মাথা নীচু করে অফিসে যাই। বাজারে যাই। কারখানায় যাই। পার্টি অফিসে হাত কচলাই। রাত যত বাড়ে টাউন হল ততই গরম ক্যাসিনো রয়েল।

আমরা বেহেশতে আছি হে স্বজাতি। কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না!

আপনার মতামত জানান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button

দুঃখিত, কপি করা যাবে না।