এক.
কালো সরষে দানা হামানদিস্তায় ছেঁচতে গিয়ে মেজাজ বিগড়ে যায় তার,
—কইলাম না, শইরষার দানা ডলার জিনিস, ছেঁচার না। বাজারে গুড়া প্যাকেট পাওন যায়, আনবেন আর খালি ঢালবেন, কাম খতম।
শিলপাটা যে ঘরে নাই তা নয়, খাটের নিচেই পাওয়া যাবে কিন্তু বহুদিনের অব্যবহৃত বলে তা আর বের করতে চায় না কেউ। মশলা বেটে খাওয়ার অভ্যাসতো আর চালু নেই, ইন্সট্যান্ট স্পাইস ও হার্বসেই ভরসা। আম্বিয়া খালার কথায় কিছু না বলে রান্নাঘরের জানালা দিয়ে বাইরে রাস্তায় তাকিয়ে যা দেখতে পেলেন তাতে একটুও অবাক হলেন না আখতার সাহেব।
সকাল সকাল রান্নাঘরে এসেছেন সরষে ইলিশ রান্না করতে; নিজেই ইলিশ মাছ কেটে টুকরো করে সাদা সুতির কাপড়ে চেপে রক্ত মুছে মুছে একটা স্টিলের প্লেটে সাজিয়ে রাখছেন। ইলিশ মাছ কাটবার পর না ধুয়ে এভাবেই পরিষ্কার করেন তিনি, এটা সিক্রেট রেসিপি—স্বাদ ও গন্ধ অটুট থাকে; দাদির কাছে জেনেছিলেন এটি, ঘরে সরষে দানা না থাকলেও কেবল সরষের তেলেই এভাবে সরষে-ইলিশ রান্না করা যায় ভাপে কিংবা কষিয়ে। মাছগুলো প্লেটে সাজিয়ে রাখতে রাখতে ও আম্বিয়া খালার ঘ্যানঘ্যান শুনতে শুনতে বাইরে দেখতে পেলেন—জানালার পাশে যে দেয়াল, তার ওপর তিনটে বেড়াল লাইন ধরে বসে দেখছে এসব, যেন এদের জন্যই এ আয়োজন, মেহমানখানার অতিথিবৃন্দ!
—দেখছেন কারবারডা, এমুনভাবে খাড়াইয়া দেখতাছে যে মনে হয় এগোরেই দাওয়াত দিছেন আপনে!
আখতার সাহেব স্মিত হেসে বেড়াল তিনটির দিকে মাছের মাথা ও পেটের নাড়িভূড়ি একটা বাটিতে করে ঠেলে দেন জানালার ওপাশে। ইলিশ মাছের আবার নাড়িভূঁড়ি! আসলে ডিম ও পেটির কিছু অংশ। একটু জায়গা আছে জানালার পাশে, আরাম করে বেড়ালগুলো বসে চেটেপুটে খেতে পারবে এসব।
—কী করলেন মামু, মাছ তো অর্ধেকটাই দিয়া দিলেন!
আখতার সাহেব কেবলই মুচকি হেসে তার কাজ করতে থাকেন। চুলায় তখন সরষে-ইলিশ দম ছেড়ে সুগন্ধ ছড়িয়ে দিয়েছে চারপাশে, বেড়ালগুলো যেন দেখতে পাচ্ছে সে সুবাসের ধারাপ্রবাহকে, ধীরে ধীরে সেই ধারাস্রোত ধরে তারা যেন কোথায় হারিয়ে গেল…।
শুক্রবারে যখন রান্না করেন তিনি কিংবা বন্ধের দিন—আসলে আখতার সাহেবের বন্ধ বা খোলার দিন বিশেষ কিছু নেই, যখন ইচ্ছা তখনই অবসর, তখনই কাজ; সে সময়ই তিনটে বেড়াল এসে হাজির হয় যথাস্থানে। এরা আখতার সাহেবের গোপন সংকেত পায় হয়তো, আম্বিয়া খালার এমনই ধারণা। যদিও আখতার সাহেব বলেন মাছের গন্ধেই এরা আসে কিন্তু আম্বিয়া ভাল করেই জানে এরা মাছ খাওয়া বেড়াল না, এরা তিনজনই তিনটা জ্বিন, মামু পালে এইগুলারে।
আখতার সাহেব কেবলই মুচকি হেসে তার কাজ করতে থাকেন। চুলায় তখন সরষে-ইলিশ দম ছেড়ে সুগন্ধ ছড়িয়ে দিয়েছে চারপাশে, বেড়ালগুলো যেন দেখতে পাচ্ছে সে সুবাসের ধারাপ্রবাহকে, ধীরে ধীরে সেই ধারাস্রোত ধরে তারা যেন কোথায় হারিয়ে গেল…।
রান্না শেষে যখন আম্বিয়া খালা ফিরবে তখন হঠাৎ মনে পড়লো তার আবু ইব্রাহিমের চাতালের কথা। আখতার সাহেবের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,
—আইচ্ছা আখতার মামু, আবু ইব্রাহিমের চাতালের ঘটনা শুনছেন?
কী ঘটনা ঘটলো আবার!
—জে, আইজ সকালে পূর্বপাড়ার কাশেম মাস্টারের মাইয়া শানু স্কুলে যাওনের সময় চাতালে দেখতে পাইলো বিশটা পাখি মইরা আছে। মনে হয় বিষ খাওয়াইছে ইব্রাহিমের বাপ; ছয়টা কইতর, চাইরটা তিলাঘুঘু, সাতটা সারস আর তিনটা টিয়াপাখি।
কথাটি শুনে আখতার সাহেব আঁৎকে ওঠেন, ঠিক বুকের ভেতর গিয়ে লাগলো খবরটা। আম্বিয়া খালাকে সাথে নিয়ে তখনই দিলেন দৌড় চাতালের দিকে। একটু আগেই তিনটে বেড়াল সরষে ইলিশের গন্ধস্রোতে যেদিকে হারিয়ে গেলো, সেদিকেই।
দুই.
চাতালের সামনে মানুষের জটলা। গ্রামে সাধারণত পুকুরে মাছ ভেসে উঠলে এমন ভীড় হয়। শত্রুতাবশত কেউ বিষ ঢেলে দেয় কারো পুকুরে হরহামেশাই, এটা একটা কমন বদমায়েশি। কিন্তু চাতালের পাখিগুলোকে বিষ ঢেলে দেয়া হলো একটি আনকমন হিংস্রতা! যেটা আবু ইব্রাহিম নিজেই করেছে তার চাতালের চাল ও গম রক্ষার অজুহাতে।
ভীড় ঠেলে সামনে এগিয়ে আসতেই আখতার সাহেবকে দেখে ভয়ে নড়েচড়ে উঠলো আবু ইব্রাহিম,
—আমার কোনো দোষ নাই কাকা, আমি আমার ধান-গম রক্ষা করতে গিয়াই এমন করছি। গত কয়েক মাসে আমার প্রায় পঁচিশ মন ধান-গম খাইছে এইগুলা।
এরই ভেতর কাশেম মাস্টার ভীড় ঠেলে এগিয়ে এলো, তার বন্ধু আখতার সাহেবেকে দেখতে পেয়ে কাছে এসে বললো,
—শুনলাম চাতালের আশেপাশে আরো দেড়-দুইশ পাখি মইরা পইড়া আছে! কেমন লাগে বন্ধু কওতো?
আখতার সাহেব আবু ইব্রাহিমের দিকে নিস্পলক তাকিয়ে, তার তীক্ষ্ণ চোখজোড়া যেন একটুপরই তীরবিদ্ধ করবে তাকে। সে ভয় পেয়ে নানান কথা বলে যেতেই লাগলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের নানা বাহানা করতে করতেই আরো একটি খবর এসে পৌঁছালো—মোট সাড়ে তিনশো পাখি মরেছে এ যাত্রায়। একদিনে এত পাখি মরার কথা নয়, কয়েকদিন ধরেই কাজটা করেছে সে।
—এইবার আপনেরাই কন সাড়ে তিনশো পাখি যদি আমার ধান-গম খায় তো আমার থাকে কী আর বেচুম কী? ঘরবাড়ি ভুইলা এই চাতালরেই ঘর বানাইছে ওরা। এইগুলারে চাতাল পাখি কইতে পারেন, আর কোনো পরিচয় নাই; সারাদিন চাতালেই খায়-হাগে-মুতে, রাইতেও দেখি কিছু কিছু থাইকা যায়, পারলে আমারেই ঠোকরাইয়া খায়…!
কাশেম মাস্টার তেড়ে আসে তাকে মারতে, কিন্তু পেছন থেকে কেউ তাকে চেপে ধরে। চাতাল মালিকের অভিযোগ মোক্ষম, অপরাধও চৌকষ!
যদিও আবু ইব্রাহিমের কথা আসলে বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করে নাই। আগেও এভাবে পাখি মেরেছে সে, নানান ফাঁদ পেতে, জাল ফেলে; কিন্তু এবারের ঘটনা এতই নৃশংস যে কোনো ভাষাতেই তা ব্যাখ্যা করা কঠিন। চাতালের ভেতর যে কয়টা পাখি মরেছে সেসবে হাত বোলাতে বোলাতে চোখ ছলছল করে উঠলো আখতার সাহেবের। একটু পর কাশেম মাস্টারের মেয়ে শানুকে দেখতে পেলেন, সে প্রায় সব মৃত পাখি সংগ্রহ করে এক জায়গায় জড়ো করে পাখিহত্যার বিচার দাবি করে বসলো। স্কুলে যাওয়া আজ হলো না তার। কাশেম মাস্টারের এই মেয়ে শানু ছেলেদের চেয়েও দুরন্ত, কেউ তাকে তার বাবার কারণে সহজে ঘাটায় না। পশু-পাখির প্রতি তার আজন্ম ভালোবাসা।
আজহার ফরহাদ-এর আরও গল্প
● আমলকির বনে কিংবা শূন্যে দিল উড়া ● ক্রমাগত চুম্বনের খেরোখাতা
এত পাখির স্তূপের কাছে এগিয়ে এসে আখতার সাহেব হতবিহ্বল হয়ে পড়েন, কোনো কথাই বলতে পারলেন না। বেশকিছু পাখিতে পচন ধরতে শুরু করেছে, দুর্গন্ধ বেরুচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ পর যখন পুলিশ আসলো তদন্তে তখন বেরিয়ে পড়লেন চাতাল হতে, কাছাকাছি থাকা তিনটে বেড়াল ঠিকই অনুসরণ করছিল তাকে। চাতালের পেছন দিকের মাঠ ধরে চলে গেলেন কাশেম মাস্টারের পারিবারিক বাগানে।
বাগান মানে বনই বলা চলে, কিছু অংশে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা বনকে কাশেম মাস্টার বহু যত্ন করে একটি বিরাট জঙ্গলেই পরিণত করেছেন। তার ভেতর দিয়ে যে সরুপথ গেছে সেখানে ধীরে হেঁটে চলছেন তিনি, তিনটে বেড়ালও, সরষে ইলিশের গন্ধস্রোতের ধারা শুঁকে চলছে না এখন—তাদের সামনে যে আসল ইলিশ মাছ, আসল হ্যামিলন, যার হাতে বাঁশি নেই কিন্তু আশ্চর্য সুগন্ধ আছে যা এরা টের পায়, হাঁটতে থাকে।
কাশেম মাস্টারের জঙ্গলে এসে আখতার সাহেব এক কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে পড়েন। সেখানে একটা ছোট চায়ের দোকান, মন্নাফ ফকির চালায়। মন্নাফ কাশেম মাস্টারের আত্মীয়, দীর্ঘদিন পড়ে আছে তার কাছে। বাউল প্রকৃতির মানুষ, গানবাজনা নিয়ে থাকে, ঘরসংসার নেই। মন্নাফের চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে বেড়াল তিনটির দিকে কয়েকটি বিস্কুট ভেঙে ছুঁড়ে মারেন আখতার সাহেব, বেশ মজা করে খেতে শুরু করে বেড়ালগুলো। বেড়ালও বিস্কুট খায়, দেখেও শান্তি!
দোকানের পেছন থেকে আম্বিয়া খালার কণ্ঠ ভেসে আসে। আম্বিয়া খালা এখানে দিনভর কাটায় চা-নাশতা বানিয়ে। সকালে ভাল নাশতা পাওয়া যায়, ভোরে মানুষজন হাঁটতে বেরুলে এখানে এসে চা-নাশতা করে যায়। মাঝে একটা সময় আখতার সাহেবের বাসায় গিয়ে কাজ-টাজ করে দেয় সে। আসলে আখতার সাহেব এদের গুরুর মত, এবং তাকে এরা প্রবলভাবে রহস্যমানব বলে বিবেচনা করে, তার অনেক অলৌকিক ক্ষমতা আছে বলে বিশ্বাস করে। আম্বিয়া খালা হলো আখতার সাহেবের নানান লৌকিক-অলৌকিক গালগল্পের মুখ্য প্রচারক। মন্নাফ ফকির অবশ্য এসব গল্প ঘষেমেজে ঠিক করে দেয়, আর কাশেম মাস্টার সেগুলোতে তত্ত্বপ্রয়োগ ঘটান।
কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে চা খেতে খেতে আর বেড়ালদের বিস্কুট খাওয়াতে খাওয়াতে ঠিক গাছের মগডাল থেকে একটা বুনো সারস হুট করে তার পায়ের কাছে এসে লুটিয়ে পড়ে। বুঝতে বাকি থাকে না যে এটা চাতালের বিষক্রিয়ার ফল।
কিন্ত এতক্ষণ পর বিষক্রিয়ায় কোনো পাখি মরবার কথা তো নয়, কেমন করে সম্ভব!—আম্বিয়া খালার অবাক জিজ্ঞাসাকে ঠেলে দিয়ে দোকানে বসে থাকা একজন বলে উঠলো,
—এইটা মনে হয় শোকে মইরা গেছে রে, সঙ্গের সাথী বোধহয় আগেই মরছে বিষে!
কথাটা আখতার সাহেবকে আরো নাড়া দিল। পাখিটার বুকে হাত রেখে টের পেলেন প্রাণবায়ু সচল এখনো। লোকটির কথা ঠিক বলে মনে হচ্ছে। পাখিটিকে তুলে সারা শরীরজুড়ে আদর করতে লাগলেন, চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে, কয়েকফোটা অশ্রু বেয়ে পড়লো পাখিটির ঠোঁটে—নোনা সে অশ্রুর স্বাদেই কিনা তার ঠোঁট প্রসারিত হলো বোঝা গেল না, কিন্তু আম্বিয়া খালা চেঁচিয়ে উঠলেন,
—দেখছেন, কী কারবার! আখতার মামুর হাতে পইড়া মরা পাখিও জিন্দা হইয়া গেল!
মন্নাফ ফকিরও হেসে ওঠে, সেও বলে,
—প্রাণ যাওন এত সোজা আখতার ভাইয়ের হাতে পড়লে!
সকালবেলার ইলিশ মাছ রান্নার ইতিহাস এ প্রান্তে এসে আপাতত শেষ করা যাক। একটা মৃত সারসের জীবন্ত হয়ে ওঠার গল্প, চাতালের বিষফাঁদে নিহত সাড়ে তিনশো পাখির বেদনাকে ছাপিয়ে এ শহরতলীর প্রতিটি ঘরেই ইতোমধ্যে পৌঁছে যাবে আখতার সাহেবের অলৌকিক এ খবর।
তিন.
পাখিগুলোর সুরতহালের জন্য যখন পুলিশ ময়নাতদন্তে পাঠাবে তখন সেখান থেকে কয়েকটা পাখি জোর করে রেখে দেন কাশেম মাস্টার ও তার সঙ্গীরা। যে কয়টা সারস মরেছিল তার সবগুলোকেই রেখে দেন তারা। সারস ছিল মোট বিশটি। এসব এনে কাশেম মাস্টারের চায়ের দোকানে বিছিয়ে রেখে প্রাণ ফিরে পাওয়া সারসটিকে ছেড়ে দেয়া হয়।
একে একে প্রতিটি সারসের দিকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে গিয়ে ঠিকই বের করে ফেললো সে তার সঙ্গীটিকে; না, আরো দুটি সারসের দিকেও সে বারবার যেতে লাগলো। বোঝা গেল তিনটে সারসের পরিবার। তিনটিকেই আলাদা করা হলো এবং জীবিত চতুর্থ সারসটিকে দেখা গেল একপাশে নীরব হয়ে তাকিয়ে থাকতে তার নিহত পরিবারের দিকে।
প্রতিটি সারসকেই আলাদা করে মাটিচাপা দেবার ব্যবস্থা করা হলো। আর তিনটে সারসকে এই কৃষ্ণচূড়া গাছের তলায় একই স্থানে কবর দেয়া হলো। বেঁচে থাকা সারসটি সেই কবরের ওপর বসে রইলো সারারাত। এভাবে তিনদিন পড়ে থেকে সে নিজেও চলে গেল।
কোথায় গেল?
তিনটে বেড়াল হারিয়ে গেলেও এদের ঠিকই খুঁজে পাওয়া যায় কিংবা এরা নিজেরাই এসে হাজির হয় ওই গন্ধস্রোতের টানে; আখতার সাহেবই যে মূল গন্ধবণিক, যার কাছ থেকে দূরে থাকা কঠিন! কিন্তু পাখিটা কি ফিরে আসবে না?
আম্বিয়া খালা এর উত্তর জানে। চাতাল পাখিদের মর্মান্তিক মৃত্যু এবং পুলিশের ময়নাতদন্ত এসবের অপেক্ষা না করেই সে যে সূরতহাল নিজেই সেরে ফেললো তা বিষ্ময়কর!
—তিনটা বিলাই যেমন কইরা ইলিশমাছের সুবাস ধইরা হারাইয়া যায়গা কই কই, তেমনেই বোধহয় পাখিটাও হারাইয়া গেল, আপন মানুষের আত্মার সুবাস লইতে তাগো আত্মা যেইদিকে হারাইয়া গেল সেইদিকেই মনে হয়…।
তিনটে বেড়াল হারিয়ে গেলেও এদের ঠিকই খুঁজে পাওয়া যায় কিংবা এরা নিজেরাই এসে হাজির হয় ওই গন্ধস্রোতের টানে; আখতার সাহেবই যে মূল গন্ধবণিক, যার কাছ থেকে দূরে থাকা কঠিন! কিন্তু পাখিটা কি ফিরে আসবে না?
আম্বিয়া খালাতো নিশ্চিত এ পাখিও ফিরা আইবো; আখতার সাহেবের কাছে তেলেসমাতি আছে, এ বিষয়েও সে নিশ্চিত!
কিন্তু সব পাখি নীড়ে ফেরে না, কিছু পাখি আরো বড় তেলেসমাতির টানে আর ফিরেই আসে না…