কোয়াড ক্যামেরা
১.
মাছির মতো অপমান
থিক থিক করে
গ্রহাণুপুঞ্জ থেকে রাতের বারান্দা
২.
হঠাৎ আজ দিনের সাথে গতকালের মিল পাওয়া যাবে না। হঠাৎই বিগত সপ্তাহকে মনে হবে পৃথিবী থেকে অকূল গ্রহের দূরত্ব
৩.
শুয়োরের বিষ্ঠা মাটিতে মিশে মাটি হয়ে যায়। পরাক্রমশালী রাজাও। আর পৃথিবী আয়তনে আরো কিছু বেড়ে আরেকটা আলোকবর্ষ অতিক্রমের দিকে ধেয়ে যায়
৪.
একটা নক্ষত্র কোনোদিনও পৃথিবীকে দেখলো না পৃথিবী ক্ষুদ্র বলে। একটা পৃথিবীতে বিবমিষায় ভরে ওঠা হুল্লোড়ে ক্ষুদ্র নক্ষত্র লাপাত্তা হয়ে গেলো
নগদ ঔদ্ধত্যের রাশি
কূল আছে
কিনারাও তাই
ভরা মৌসুমের বাঞ্চা হয়ে প্রগলভতা উড়াই
জনে জনে
নগদ ঔদ্ধত্যের রাশি
বিনয়ের বাধিত অবতার হয়ে গায়ে ঠোকাঠুকি
সুনন্দের সমূহ মেঘে
বাহিত আর্দ্রতা
দমের শুষ্ক শংকাকে গোপন
তোমার মঞ্জরিত অহম
ধেয়ে
সেচের অদূর সম্ভাবনার ভূগোল
নিহিত তীর্যক ফাটা দাগে—
আমাকে দিতে চাওয়া তোমার ধাক্কাই
আমাকে দিয়ে আমি ফেলে দেবো আগে…
শান্তাকে
সে এক ছিঁড়ে যাওয়া ব-দ্বীপ
ভেসে ভেসে ভিড়ে গেছে মার্কিনে !
পেছনে নানা পুঞ্জ; মরে যাওয়া মা-বাপ
আর কখনোই না থাকা সহোদর
না সহোদরা
ভিড়ে গেছে ভিনদেশি নেইবারুড
উড়ে যায় সন্ধ্যা হোক ভোররাত্রির
সে এক কালারের যানে
স্টিয়ারিং হুইলে রাখা ক্লান্ত হাত
শেষে গিয়ে আঁকিবুঁকি করে মডেলের মুখে
তার বিঘ্নিত সরল ঝাপট
কই গিয়ে আন্দোলিত করে
কন্যা ও বরের মুখরিত আলোকের আড়ালে;
তারে কে পায় আর সে কারে
যে যার আনন্দ-অভিযোজনে রয়ে যায়
মহাযজ্ঞের নিগুঢ় মার্কিনে।
অনেক শ্রান্তির পরে যখন সূর্য নাই
গ্রান্ড সেন্ট্রাল ধরে সেই গাড়ি ধায়’
তার প্রসাধনে রাঙা অগুনতি রঙিন মুখ
প্রতিভাত কিন্তু মুহূর্তের পরিচয়ে—
প্রতিরাতে সে ফেলে আসে
জ্বলজ্বলে বিনিদ্র ম্যানহেটনে
আমি
দেহের উৎসারিত দমে আমাকে ঘোষণা করে না বাতাস। আমার ঝুলা ত্বক , বাদামী তামার আগে সমুজ্জ্বল ফলা। শীৎকার মিলিয়ে গেলে চুপে সঙ্গমকলা, —মাংসে মাংস লেগে থাকে না। এই করোটি ও কোটর, বিগত পুরুষের পুনঃস্থাপন তথা। জৈবক্রমে লীন হলে পরে ধোপে টেকে না। দেহকে নয় , জুড়ে দেয়া বুক স্বতন্ত্র করে নেয় শুধু দেহজাত কথা।
সমসাময়িক
হারিয়ে যাবার বিগত বাসনার মতো
হারিয়ে যাওয়া অনুভূত হলো
স্থানান্তরহীন
সমবিন্দুতে বসে
সমান সূর্যালোক দেখে।