আমি এক মধ্যবিত্ত প্রেমিক
সস্তা বুকে যে যার মতো কাস্তে চালায়
বুকের মধ্যে হাজার স্বপ্ন লুকিয়ে চা খাই চুমু খাই মরে যাই
একা মানুষ
একা হতে হতে নিঁখোজ ভোর দেখা হয়ে ওঠে না কতকাল
বিচিত্র দুঃখ নিয়ে কেটে যায় দুধভাত জীবন
কোনো এক মধ্যরাতে কেঁদে ওঠে চাঁদ
পাথর চোখের জল গড়িয়ে গড়িয়ে মেঘেদের মত অসামাজিক
পকেটের অবস্থা করুণ হয়ে উঠলে
প্রেমিকা থেকে পালিয়ে বেড়াই সহস্র বিকেল
স্বেচ্ছায় চুপ করে থাকি পাহাড়ি অন্যমনস্কতায়
শুষ্কহৃদয় জপতে থাকে ঈশ্বরের গোপন খিস্তি
আর
কন্ঠস্বর ক্ষীণ হতে হতে মৃত্যুদণ্ডিদের মত উর্বর
এই বেপরোয়া লোকালয়ে মনে হয় প্রেমিকার আবদারের চেয়ে নদীর আহ্বানই শ্রেয়
নিজের চোখের কাছেই নত হই বার বার
রোজ চিলেকোঠার কামরায় অপ্রয়োজনীয় অতীত ভুলে
অর্জিত পাপের ঝুলি খুলে বসি আর ক্ষমা করি…
শিহরণ
শরীরের প্রতিটা তিলকে চুমু খাবো
পরিচিত অপরিচিত জন্ম জন্মান্ত প্রতিটা দাগে চুমু খাবো
ঠোঁটে বুলাবো ঠোঁট কথারা বেঁধেছে জোট ব্যথারাও
একে অন্যকে আষ্টেপিষ্টে ঝর্ঝর একাকার
বুকের নদীতে স্তনসাঁকো হবো পার বারবার
প্রতি স্পর্শে ভুলিয়ে দিবো – দৈনন্দিন জীবনবিলাপ
গড়িয়ে যাবো রক্তরন্ধ্রে স্বচ্ছ মারবেল হয়ে
ক্ষত’বা
সুযোগে
শরীরে ঢুকেছে যে পিঁপড়া – কতটা নিঃসঙ্গ
জেগেছে শিহরণ মরণের স্পর্ধায় সুন্দরের অায়োজন নাগাল পাবো সুনসান ঘুমের তোমাতেই বিয়োজন
ক্লান্তিকে শরীর নিংড়িয়ে
চোয়ালে চোয়াল
চোখে চোখ নাক আলতো ঘষে
বলতে বলতে
কপাল লাফিয়ে বুকে এসে ঘুমিয়ে পড়ে চুমু
ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি
সাংঘাতিক
১
নিজেকে শেষ করে দেবার মতন কিছু খুঁজছি
২
তুমি মৃত্যুর মত অনিবার্য হতে পারতে
চাইলেই তোমারে এড়াইতে পারতাম নাহ
৩
তোমারে এমন কইরা চাই
যেনো খোদার জান্নাতে গিয়া বাহাত্তরডা হুর বাতিল কইরা দিতে পারি