আদম
বাবা, আমাকে ভাসিয়ে নাও—
মায়ের নৌকায় শুধু অন্ধকার আর পানি
শরীরে আচমকা পাখি পাখি গন্ধ লাগে
না জানি—কোন কালের কোন ফল
খেয়েছিল সাপ, সে চির-অভিমানী
হায়! আমার দিন-রাত্রি
আমি বিশ্বাস করি—
আমার আব্বা বহুদিন নিঃসঙ্গ থেকেও নিরাপদ ছিলেন
জগৎ থেকে দূরে, এক মহাগ্রামের ভেতর
কোনো কিছুরই সংকট ছিল না তার
যেন সে একা একা—
সৃষ্টি আর বিলয় বেদনার বাহার।
বাবা, আমাকে ভাসিয়ে নাও
এখানে মানুষ আর মানুষে বিদ্যুৎ খেলে
মিথের রাজা ওরা—
আম্মাকে ভুলভাল ডাকে
তিনি নৌকা—তিনি পাখি—তিনিই আব্বার নারী
হায়! আমার দিন-রাত্রি
আপনার খেলা বুঝি আর শেষ হয় না, বাবা!
সৌন্দর্য
যেন রোদে ডুব দিয়ে বিড়ালটি
মানুষের আকার পেল
আর তুমিও—
লোমে বিলি কেটে পার হচ্ছ
ঘর—
বিছানা—
বালিশ—
তুলোগুলো উড়ে যাচ্ছে হাওয়ায়
আঁচড়ের দাগে—কানের কাছে
এখন ঘুম
আর অগণিত শিশুরা মুখে স্তন গুঁজে
পাহারা দিচ্ছে মায়ের সৌন্দর্য।
শব্দ
তারা কী কী ধরে রাখে তোমার—
ঘরে-বাইরে, ইঞ্জিনে—
নাকি টনটন ব্যথার পাশে পড়ে থাকে
…………………………………………….সবুজ ডিলেমা
যেন কালো—
একটি নিবিড় শব্দের ভেতর কেউ
কিছু না বলেও চলে যেতে পারে দূর
অজস্র স্ক্রুপ খুলে দিয়ে—
সমস্ত বাঘের শরীর!
ডোরায় ফুটতে থাকা গভীর কোনো ফুল—
বৃষ্টি কিংবা কাদায়, সে কি চৈতন্য?
জলের ভেতর গাঢ় পদ্ম—
পাপড়ি খুলে বসে লোহায়
যারা লিখে রাখে সাপেদের স্মৃতি—
এই পঙ্কিল ভরা দিনে
জানি—
এখন কোথাও কোনো রাগী মেয়েমানুষ
কামড়ে দিলে আজ আর অসুখ হবে না।