হালাল সাধনা
রাত জেগে বসে আছি
সাধনা আঁধার
হালাল সেহেরী তুমি
আজ কত দরকার!
হে মহুয়া,
প্রেমিকা আমার
তুমি শ্রেষ্ঠ ইফতার।
সুখের ঠিকানা
যারা
আনন্দের ঠিকানা
খুঁজতে বেরিয়ে ছিল
তাদেরকে
পাওয়া গেল
বিষাদের বাসায়!
প্রকৃতি বিজ্ঞান
যদি জিব্রাইলের ডানায়
চড়ুই পাখির মতো
ঘর বাঁধতে পারতাম
কিংবা মিকাইল ফেরেস্তা বন্ধু হতো
তাহলে সমস্ত নবীর বাগান পায়চারি করতাম আর
মেঘের সাথে ভেসে ভেসে
পাঠ করতাম মানুষ-পাহাড়
কিন্তু জন্মেছি সমতলে
আদম সন্তান
যার আদিপিতা পৃথিবীতে বিলিয়েছেন কৃষিজ্ঞান
আমার ঘরের দম বাঁধা যেন হাওয়ায় হাওয়ায়।
চৈত্রের দুপুর
চৈত্রের দুপুরে মনের ভেতর কেমন খাঁ খাঁ লাগে
কোথাও সবুজ পাতার নিচে সুতো কাটছে নীল পোকা
হেলে পড়েছে রোদের রেহাল
তার ওপর মাথা পেতে নিঝুচ্ছে দুপুর
আমি সকালের কাছে ঋণী হয়ে থাকা বাদামী পুরুষ
গোধুলীর গায়ে মাখিয়ে দেব কাঁচা হলুদের রস
তার পায়রার মতো ডানায়
চৈতকামড়ি রাতে সে যেন ডাকে কূজন কূজন
তারপর বিভেদের দেয়াল তুলে দিব্যি গুছিয়ে নেব মায়ের আঁচলের মতো কোনো অচল পয়সা
যেখানে শুকনো পাটের হাসিতে কাঁদে দুনিয়া আজব!
কল্পনার গল্প
ঘুম না আসলে বুঝতে পারি কোনো প্রতিবেশী হয়তো ভালো নেই
ঘুম না আসলে বুঝতে পারি
আগামীকাল বন্দুকে নিহত হবে কেউ
অথচ ঘুম একমাত্র ওষুধ
সুস্থ থাকার
তবু ঘুম না আসলে বুঝতে পারি
হয়তো কাছের কাউকে হারাতে বসবো
এমনই ঘুমের কালে চোখে তবু ঘুম নেই
ঘুম না আসলে বুঝতে পারি
এই বুঝি কেউ স্বপ্ন চুরি করে নিয়ে গেল
তবু স্বপ্ন দেখার অপেক্ষায় আর ঘুম আসে না
প্রতিবেশী আমার ঘুমও চুরি করে
যেমন লুট হয়ে গেছে সিন্দুকের টাকা
ঠিক সেভাবে রপ্তানি হচ্ছে কপাল
এভাগ্যে আর ঘুম নেই
চোরের বাড়িতে বেড়াতে গেছে ভোট
বিদেশ ভ্রমণে ব্যাংক
ডাকাতের কবলে পড়েছে রাণী
আমার ঘুম আসে না
স্বপ্নের নামে চুরি হচ্ছে ঘুম
আমাকে চুরি করেছে কল্পনা
ঘুম না আসলে প্রতিবেশীকে মনে পড়ে
আলাপ করতে কড়া নাড়ে মন
কেউ শোনে না কল্পনার কথা
সবাই ঘুমিয়ে গেছে
কেবল ঘুমের রাজ্যে আমি সংখ্যালঘু
কল্পনার বাড়িতে আমি নাড়ি পুতে রেখে এসেছি কিনা?
জানি না
তবু ঘুম না আসলে বুঝতে পারি
মা ভালো নেই
আমার তো মা নেই
মা না থাকলে আর কি থাকে
কবিতা?
কল্পনা?
সব তার চুরি হয়ে যায়
স্বপ্নের নামে!
ঘুম না আসলে আমি কল্পনাকে স্বপ্নের কথা বলি
আমাদের ঘুম ভেঙে যায়!
স্বপ্ন গুম হয়ে যায়
জেগে থাকে ঘুম।