এই শেষ রাত
ওকে চুমু খাও—
ঘুমিয়ে পরো না আজ।
নেই রাত—
নেই দিন—
কে ডাকে, বলো কে ওখানে?
একটা পাখির সাথে
পালকের নিচে!
কে মরছে—
কে কাঁদছে—
তাকে বলো,
এখানে সময় নেই
কিচ্ছু নেই—
ঠোঁটের ফাঁকে
সে নাচছে!
আমার কি কাজ—
এখানে কি কাজ—
আল্লাহ নামুক, নেমে আসুক।
আমাদের সাথে দেখা হোক।
হে ঋতুরাজ—
আমি যদি মরে যাই
কেউ কি আমার নাই!
এই দীর্ঘ মানুষ—
এই ছোট্ট মানুষ—
কারা টেনে নিয়ে যায়,
কারা ছুঁড়ে মারে রোশনাই—
তোমার চোখেমুখে।
আমার কোনো ঘুম নাই—
আমার কোনো ভয় নাই—
আজরাইল আসুক।
দলে দলে আসুক।
আমার কোনো উপায় নাই।
এই শেষ রাতে—
এই শেষ তোমার সাথে।
সুন্দর
আমি কিছুই বলবো না—
শুধু জড়িয়ে নেবো।
এই অন্তর পুড়ে খাক—
এক নিমিষেই স্তব্দ।
এরপর কেউ আমাকে কিছু বললে—
বলবো, আমি শেষ হয়ে গেছি।
ইশারা
তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে—
মরার সামনে এসে দাঁড়িয়েছি।
যেন আল্লাহর অঙ্গুলিতে—
ফুটে উঠা পাথর!
ভাবছি, ছুঁয়ে দেখি—
ওইসব পাথরের শরীর।
কী আছে তার ভেতর!
সে এক মিহি কণ্ঠনালী
তুমি বললে, না—
আমাকে বাঁশি বানাও—
আর সবকটা দরজা।
যেখানে তুমি প্রবেশ করবে—
একান্তে বাজাবে সুর সারগাম।
মানুষে মানুষ মিললে—
বিদ্যুৎ ছড়িয়ে পড়ে!
পাখি তার গান গায়—
গুপ্ত এক লাল ফুলে।
গাঢ় গভীর আমার চোখ—
পৃথিবী, পৃথিবী থেকে দূরে!
কাকে যে আব্বা ডাকি—
কাকে যে বলি আম্মা—
আমার কেন ঘোর লাগে।
কেন এমন লাগে আমার।
মরার সামনে এসে দাঁড়িয়ে—
মনে হয় তুমি টান দিলেই—
ফেটে যাবে সমস্ত গুপ্ত ভাষার দানা।
খাবার হয়ে ছড়িয়ে পড়বে চারদিক—
এখানে ওখানে নানান ফুলের বাহানা।
সোনালি ঘুমের কাছে—
তুমি ছাড়া এমন ঘুম আমার
কে আর ঘুম পাড়াবে, বলো?
ও মুখে সোনা রঙ।
ও মুখে পাখি ডাকে।
আমি তার নাম লিখি—
ঠোঁটের উপর ঠোঁট ঘষে।
কালো মসৃণ পাথরে—
তোমাকে খুঁজতে এসে
মরার সমানে দাঁড়িয়েছি।
যেন আল্লাহর অঙ্গুলিতে
মায়াবী এক ইশারা—
প্রেমের উপর পাগল হয়ে নাচছে।
মন
কোথাও আমি ছিলাম কিনা—
সেটাও অবান্তর হবে আগামীতে।
যদি কোথাও কিছু অংশ থাকে—
আর যদি নাইবা থাকে
কিছুই যায় আসে না।
যে মন একবার পাগল হয়েছে—
তার তো আর কিছুই লাগে না।
নিরাপত্তা
নিরাপত্তার কথা বলো না—
ওটা আমার নাই
নিজের কাছেই নিজের নাই।
ধরো, এক অন্ধ—
গান গাইছে
তুমি শোনছো তো?
দেখো বসন্ত খুব ছোট্ট
যেমন আমার জীবন!
কালো—
রাতের পর রাত
আমি ঘুমিয়ে কাটাচ্ছি
আর তোমার পোশাকে ঢাকা আকাশ—
চুমকি ছড়াচ্ছে।
আমি অন্ধ—
নিরাপত্তা নাই
তুমি চাইলে ছুটে পালিয়ে যেতে পারো
দূরে, বহুদূরে…